অনলাইন ডেস্ক | মঙ্গলবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট | 69 বার পঠিত
জাতীয় প্রবাসী কল্যাণ দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমজাতীয় প্রবাসী কল্যাণ দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র চালুর মধ্য দিয়ে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৩’ উদযাপন করলো লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা, বিভিন্ন কাউন্সিলের মেয়র ও কাউন্সিলররা, ব্যবসায়ী ও রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রবাসী, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা ও বিশিষ্ট সাংবাদিকসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে জাতীয় প্রবাসী কল্যাণ দিবস উদযাপন করে দূতাবাস।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দূতাবাসে আয়োজিত এক বিশেষ মতবিনিময় সভায় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম তার বক্তব্যে প্রবাসী-বান্ধব বিভিন্ন জাতীয় নীতিমালা গ্রহণ এবং ৩০ ডিসেম্বরকে জাতীয় প্রবাসী দিবস ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রবাসী নাগরিকদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের কল্যাণমূলক নীতিমালা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশনায় তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে রেকর্ডসংখ্যক কনস্যুলার এবং ওয়েলফেয়ার সেবা প্রদান করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন। কোভিড পূর্ববর্তী ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৩ সালে ৫৬ শতাংশ বেশি এনভিআর, ২৫ শতাংশ বেশি এমারপি এবং আড়াই হাজারের বেশি ওয়েলফেয়ার সংক্রান্ত সার্ভিস প্রদান করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে লন্ডনে থেকে ই-পাসপোর্ট এবং এনআইডি যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে তুলে দিতে পেরে হা কমিশন গর্বিত বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুক্ত্যরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে প্রবাসীদের সর্ব ধরনের সহায়তা প্রদান এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কাজে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হাইকমিশন, সব সময় অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
মতবিনিময় অনুষ্ঠানের পর হাইকমিশনার একজন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেন। এরপর তিন জন বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্বের এনআইডি আবেদন গ্রহণের মাধ্যমে এনআইডি পাইলট প্রজেক্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করে হাইকমিশনার জানান, আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে লন্ডনে পূর্ণাঙ্গ এনআইডি-সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে।
এ প্রসঙ্গে হাইকমিশনার উল্লেখ করেন,এনআইডির জন্য বাংলাদেশি জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। প্রবাসীদের মধ্যে যাদের বাংলাদেশি জন্ম-নিবন্ধন সনদ নেই, তারা বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করলে, তাদের দ্রুত বাংলাদেশের জন্ম-নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হবে। এরপর তারা বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন থেকে ই-পাসপোর্ট এবং এনআইডি গ্রহণ করতে পারবেন।
Posted ৪:৫৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৪
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed