অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট | 116 বার পঠিত
রাজধানীর বিভিন্ন থানার নাশকতার পাঁচ মামলায় বিএনপির ১০৯ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার তিনটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এসব রায় দেন। অবশ্য, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় হাজারীবাগ থানার এক মামলায় সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
উত্তরখান থানার দুই মামলায় ৬৭ জনের কারাদণ্ড
রাজধানীর উত্তরখান থানায় ২০১৮ সালে দায়ের করা নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির ৬৭ জনকে দুই বছর এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত থাকায় তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ধানমন্ডি থানার মামলায় ২২ জনের কারাদণ্ড
পাঁচ বছর আগে ধানমণ্ডি থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিসহ ২২ নেতাকর্মীকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্যরা হলেন- হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মানিক, ধানমন্ডি থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, হাজারীবাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মজিবুর রহমান মজু ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন, হাজারীবাগ থানা ছাত্রদলের সভাপতি আনিসুর রহমান শিবলু।
কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় ৫ জনের সাজা
২০১৮ সালের কামরাঙ্গীরচর থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দুই আসামি মো. নাঈম (৪২) ও মো. গাফফার (৪৩) কে তিন ধারায় ৪ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর তিন আসামি- জাবেদ, শহিদুল হক ও মো. আইয়ুবকে এক বছর তিনমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত বাকি ১৯ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় মিছিল করে বিএনপি। মিছিলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার অভিযোগে ঘটনার দিনই কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মে উপ-পরিদর্শক মো. আহসান হাবীব ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
গুলশান থানার মামলায় ১৫ জনের কারাদণ্ড
দশ বছর আগে রাজধানীর গুলশান থানার নাশকতার মামলায় ১৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান।
এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
হাজারীবাগ থানার মামলায় ২৮ জন খালাস
হাজারীবাগ থানায় করা নাশকতার এক মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত ২৮ আসামিকেই খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় দেন। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে করা মিছিলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক লন্ডন চৌধুরী।
Posted ৩:২৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed
.
এ বিভাগের আরও খবর