
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি | মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট | 33 বার পঠিত
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং জিরো পয়েন্ট ইসিওভুক্ত এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য কামাল হোসেনের উপর অতর্কিত হামলা ও মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় জাফলং জিরো পয়েন্টে চার শতাধিক শ্রমিকের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবাদ সভায় শ্রমিকরা বলেন, কামাল হোসেন একজন শ্রমিক জনবান্ধব ওয়ার্ড সদস্য। তিনি সব সময় শ্রমিকদের পক্ষে কাজ করেন। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও তিনি শ্রমিকদের নিয়ে দাবি দাওয়া আদায়ে মাঠে ছিলেন শ্রমিকদের পাশে ছিলেন। ৫ আগস্ট এর পর দেশের পরিবর্তনের সাথে সাথে যারা জাফলং অবৈধভাবে বালু ও পাথর লুটপাট করছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। সেই থেকে একদল ইসিভুক্ত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলনকারীদের চোখের বালি হয়ে উঠেন তিনি। গত ৯ মার্চ রাতে অবৈধভাবে জাফলং এসিভুক্ত এলাকা থেকে বালু উত্তোলনকালে বাধা প্রদান করায় শ্রমিক নামের চাঁদাবাজরা তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলা প্রায় ২০ জন শ্রমিক আহত হয়। তারা এই অতর্কিত হামলার ও মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বলেন, আমি সবসময় অসহায় শ্রমিকেদের পক্ষে কাজ করি। আমার নামে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রতিহিংসায় মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি কোন চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নয়, সবসময় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলি ও প্রতিবাদ করি। তিনি বলেন জাফলং লাখের পার গ্রামের হেকিম মিয়া ও মোহাম্মদপুরের সুমন শিকদারসহ অর্ধশত লোকজন দিন-রাত জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে ট্রাক ভর্তি করে বালু-পাথর নেওয়ায় বারবার প্রতিবাদ করে আসছি। ৯ মার্চ রাত সাড়ে ৮ টার সময় আমি সহ আরো ১৫/২০ জন লোকজন নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে হেকিম ও সুমন শিকদারের লোকেরা আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের পক্ষের ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন। পরবর্তীতে আমি সহ আহত অন্যান্যরা গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেই। চিকিৎসা শেষে ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করি।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা আরো বলেন, ইউপি সদস্য কামাল হোসেন একজন ভালো এবং পরোপকারী লোক। আমরা দেখে আসছি তিনি সবসময় শ্রমিকের জন্য কাজ করে আসছেন এবং তিনি সবসময় শ্রমিকের পক্ষে ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেন। যেখানে অন্যায় সেখানে কামাল মেম্বার প্রতিবাদ করে থাকেন। আমরা শ্রমিকরা যখনি কোন সমস্যায় পড়ি তখন কামাল মেম্বার কে আমরা পাশে পাই। গত ৯ মার্চ রাত সাড়ে ৮টায় জাফলং ইসিওভুক্ত এলাকা থেকে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় মেম্বার সহ আমরা ১০/১৫ জনের উপর জাফলং লাখের পার গ্রামের হেকিম মিয়া ও মোহাম্মদপুরের সুমন শিকদারের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
Posted ১০:৩৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
ajkersangbad24.com | Fayzul Ahmed